আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলা সদরের মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের মকড়া ঢঢ গাছ গ্রামের বসতবাড়ি জোর পূর্বক অনাধিকার ভাবে প্রবেশের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে থানায় পাল্টা পাল্টি অভিযোগ দিয়েছেন ভাবি ও দেবর।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মকড়া ঢঢ গাছ এলাকার এক সময়ের শিল্পপতি মৃত্যু সাইদুল ইসলাম সাজু ঢাকায় গার্মেন্টস ব্যবসা করতেন। জীবিত থাকা অবস্থায় তার বাবার বসত ভিটায় বাড়ি নির্মাণ করেন। তিনি মারা যান ২০১৩ সালের ২৯ অক্টোবর। সেই বাড়িতে থাকতো সাজুর ছোট ভাই রবিউল ইসলাম। সাজু স্ত্রী সন্তান ঢাকাতেই থাকে, সেখান থেকে মাঝে মাঝে আসলে তারা সেই বাড়িতে থাকেন। তার রেখে যাওয়া সম্পত্তি ভাই বেলাল হোসেন ও রবিউল ইসলাম দেখা শুনা করে। বেশ কিছু দিন ধরে সাজুর স্ত্রী সন্তান এসে বাড়িটিতে বসবাস করছে। বর্তমান বাড়িটিকে কেন্দ্র করে পরিবারটিতে অশান্তি বিরাজ করছে।
সাইদুল ইসলাম সাজুর স্ত্রী সেলিনা ইসলাম মিনু বলেন, সন্তানরা বড় হচ্ছে তারাতো বাবার রেখে যাওয়া বাড়িতে থাকবে কিন্তু তা না মেনে উল্টো আমাদেরকে উচ্ছেদের পরিকল্পনা চলছে! আমার স্বামীর রেখে যাওয়া বাড়ি ও সম্পত্তি আমার দেবর রবিউল ইসলাম জোর পূর্বক দখল করে আসছে। এর আগে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ শালিশ বৈঠকে উক্ত সম্পত্তি বরিউলকে দখল ছাড়িয়া দেওয়ার কথা বলে। কিন্তু রবিউল ও আমার ননদের জামাই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মাহাফুজার রহমান আমার পুত্র ও কন্যাদের ভয় ভীতি দেখিয়ে বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার পায়তারা করতে থাকে। তারা যে কোন সময় আমাদেরকে বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করিতে পারে। গত ৩১ আগস্ট বিকাল অনুমান ৫টায় রবিউল আমাকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে তাই গত ১ সেপ্টেম্বর লালমনিরহাট সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছি। সেই সাথে স্থানীয় ভাবে মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকেও লিখিত ভাবে জানাইছি। আমি সকলের কাছে সঠিক বিচার চাই।
রবিউল ইসলাম বলেন, আমার বাবা যখন জীবিত ছিলো তখন বাড়িটি করা হয়েছে। তাই মাসহ এই বাড়িতেই থাকি। তাদের উচ্ছেদ করার কি আছে বরং আমাকে পৈতৃক সম্পত্তির ভিটা থেকে হইতে উচ্ছেদ করার পায়তারা করছে। তাই গত ২৯ আগস্ট সকাল অনুমান ১০ঘটিকায় আমার মেজ ভাই, মেজ ভাবি, বড় ভাবি ও ভাতিজা আমাকে হুমকি দেয। এবং তারাই গত ১ সেপ্টেম্বর রাত্রি অনুমান ১০ঘটিকায় আমাকে ও আমার বউকে মারপিট করিয়া এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বাহির করে দেয়। গত ৩ সেপ্টেম্বর লালমনিরহাট সদর থানায় একটি লেখিত অভিযোগ দাখিল করি। পরে আমার অবলা গরুকে পুলিশ দিয়ে উদ্ধার করি তবে আমার ঘরে থাকা ধান পাইনি। তারা আমার ঘরে তালা লাগিয়েছে। আমি এর ন্যার্য বিচার চাই।
সাজুর মেজ ভাই বেলাল হোসেস জানায়, একজনের সম্পদ অন্যজন কি ভোগ করতে পারে? বড় ভাই আজ দুনিয়ায় নাই তার স্ত্রী সন্তান তার সম্পদের মালিক। তাই এতিম সন্তানদেরকে তাদের আমানত বুঝিয়ে দিতে শালিস ডাকা হয়েছে কিন্তু ছোট ভাই রবিউল ছিলো না। সেদিন রাতে বড় ভাবি আর ছোট ভাইয়ের কথা কাটাকাটি হয় আমি তাদের কথা কাটাকাটি বন্ধ করতে বলায় থানায় আমার ও আমার বউয়ের নামে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ছোট ভাই রবিউল। পরিবারের বিষয়ে বাহিরে কাদা ছোড়া ছুরি হচ্ছে। তাহলে আপনারই বিচার করেন এখন।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানান, সাজুর দু’বউয়ের মধ্যে সেলিনা তার সন্তান নিয়ে ঢাকা থেকে এখানে মাঝে মাঝে আসে। আর অন্য বউটি সাজু মারা যাওয়া পড়ে একটি বারও আসতে দেখা যায় নি। সেদিন রাতে বাড়িকে কেন্দ্র করে অনাকাঙ্কিত একটি ঘটনা ঘটে। এখানে মনে হয় পিছন থেকে কেউ উষ্কে দিয়ে তাদের শান্তি নষ্ট করছে।
লালমনিরহাট সদর থানার এস আই আসাদ বলেন, অভিযোগের আলোকে তদন্তে গিয়েছি। তদন্ত বিষয়ে ওসি স্যারের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।